ইয়াহিয়া খান ১৯৭০ সালের ২৮শে মার্চ জাতির উদ্দেশে এক ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত আইনগত কাঠামো আদেশ ঘোষণা করেন । সেখানে তিনি মূলত জাতীয় ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য সংখ্যা কত হবে, ভোটদানের প্রক্রিয়া কী হবে, কত দিনের মধ্যে নির্বাচিত পরিষদ সংবিধান রচনা করবে এবং পাকিস্তানের দুই অংশের মধ্যে সমন্বয় সাধনের জন্য বিশেষ কিছু দিক তুলে ধরেন ।
তার ঘোষণার বিশেষ দিকগুলো ছিল :
অঞ্চল | জাতীয় পরিষদ | প্রাদেশিক পরিষদ | ||||
সাধারণ | মহিলা | মোট | সাধারণ | মহিলা | মোট | |
পূর্ব পাকিস্তান | ১৬২ | ৭ | ১৬৯ | ৩০০ | ১০ | ৩১০ |
পশ্চিম পাকিস্তান | ১৩৮ | ৬ | ১৪৪ | ৩০০ | ১১ | ৩১১ |
আইনগত কাঠামো আদেশের ২০ নং ধারায় সংবিধানের মূল ছয়টি নীতি বেঁধে দেয়া হয় । যথা :
ক. ফেডারেল পদ্ধতির সরকার;
খ. ইসলামি আদর্শ হবে রাষ্ট্রের ভিত্তি;
গ. প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটে প্রত্যক্ষ নির্বাচনে জনসংখ্যার অনুপাতে প্রতিনিধিরা নির্বাচিত হবেন;
ঘ. মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে হবে;
ঙ. নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বিভিন্ন এলাকার অর্থনৈতিক ও অন্যান্য বৈষম্য দূর করতে হবে;
চ. বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে হবে ।
ইয়াহিয়া খানের আইনগত কাঠামো আদেশে মূলত সার্বভৌম পার্লামেন্টের বদলে একটি দুর্বল পার্লামেন্টের রূপরেখা দেওয়া হয় । ফলে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দলগুলো এর সমালোচনা করে। তারা এ আদেশের অগণতান্ত্রিক ধারাসমূহ বাদ দেওয়ার দাবি জানায় ।
আরও দেখুন...